আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান মামলার বরাত দিয়ে জানান,করোনা ভাইরাসের কারণে ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি দেশে লকডাউন ছিলো। বন্ধ ছিল স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল। আরও দু’জন পুরুষ যাত্রী নিয়ে চালক সোহেল রানা এবং সহকারী ওহাব শেখ ট্রাক নিয়ে বগুড়ার উদ্দেশে রওনা দেয় ঢাকার চন্দ্রা থেকে ভিকটিমসহ। ট্রাকটি থামিয়ে পুরুষ যাত্রীদের জানানো হয় ট্রাক নষ্ট হয়ে গেছে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর। অনেক সময় লাগবে মেরামতে। এরপর দুই পুরুষ যাত্রী ট্রাক থেকে নেমে যান। তবে ট্রাকের কেবিনেই ছিলেন ওই তরুণী। এরপর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে চালক সোহেল রানা ওই তরুণীকে। ওই সময় ভিডিও করেন ইউনুস আলী সুমন নামে এক ব্যক্তি ধর্ষণের ঘটনাটি তার মোবাইলে। টের পেয়ে বিষয়টি চালক ও সহকারী দ্রুত ভিকটিমসহ পালানোর চেষ্টা করে ট্রাক নিয়ে। জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে ইউনুস আলী সুমন জানান বিষয়টি। এরপর চালক ও সহকারীসহ ট্রাকটি আটক করা হয় সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকা থেকে। চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে মামলা করেন এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে। এরপর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় চালক সোহেল রানা আদালতে দোষ স্বীকার করে।চালকের সহকারী ওহাব সেখ কারাগারে মারা যায়, মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের সময় ২০২৩ সালের ১২ মে।
সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-(২) এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।এ রায় দেন তিনি ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে। বগুড়া সদর উপজেলার আশুখোলা গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে এই দণ্ডপ্রাপ্ত ট্রাক চালক সোহেল রানা (৩২)।