জুনায়েদ সাকি ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রতীক - ফাইল ছবি |
গণসংহতি আন্দোলন একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত হয়। জুনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন দলটি জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ- ১৯৭২ (চাপ্টার ৬ এ) এর বিধানের অধীনে নিবন্ধিত। দলের প্রতীক ‘মাথল’। নিবন্ধন নম্বর ৫৩।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিনিধি দলের কাছে দলের নিবন্ধন সনদ তুলে দেন।
নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত গেজেটটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ১১ এপ্রিল, ২০১৯ তারিখের রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে একটি নতুন আদেশ দেওয়া হয়েছে। গণসংহতি আন্দোলন ১৯৭২ চ্যাপ্টার ৬এ-এর বিধান অনুযায়ী গণসংহতি আন্দোলনকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে।
জানা গেছে, গণসংহতি আন্দোলন ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে একটি আবেদন জমা দেয়। তবে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ইসি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। জোনায়েদ সাকি সুপ্রিম কোর্টে দাবির একটি বিবৃতি লিখেছেন। ১১ এপ্রিল, ২০১৯-এ, সুপ্রিম কোর্ট ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে ছাত্র অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের পর কমিশন তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।
জানা যায় যে হাবিবুর প্রথমের প্রস্থান কমিটি ৫ সেপ্টেম্বর তার পদত্যাগের আগে আপিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে দায়ের করা একটি পিটিশন প্রত্যাহার করে নেয়। ওই দিনই দলের বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি তোলা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে ছয় দিনের নোটিশ দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন নির্বাচন কমিশন সচিব। গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ছিল তার শেষ সময়।