বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে উপহাস করায় বগুড়া আদালত চত্বরে কান ধরিয়ে উঠবস করার পর আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে মারধর করা হয়।রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাইকোর্টের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের দায়ী করেন। হিরো আলম রবিবার দুপুরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে যে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রচারের সময় তাকে মারধর করা হয়েছিল এবং ফেব্রুয়ারিতে একই আসনের উপ-নির্বাচনে কারচুপি করা হয়েছিল। ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ৩৯ জনকে আসামি করা হয়েছে এ মামলায়।মামলা দায়েরের পর আদালতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুতি নেন হিরো আলম। এ সময় কয়েকজন যুবক হিরো আলমের ওপর হামলা করে ও তারেক রহমানকে কটূক্তি করার অভিযোগ তোলে। প্রথমে তারা হিরো আলমকে কান ধরে উঠবস করিয়ে ক্ষমা চাওয়ার পরে তারা সড়কে নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করেন।
মারধরের পর হিরো আলম বলেন, ‘স্বৈরাচারের পতনের পর আরেকটি দল তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে দিয়েছে। এটাই কি স্বাধীনতা? আমাকে প্রকাশ্যে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি কখনো তারেক জিয়াকে অপমান করিনি। ডি.বি. হারুন আমার পরিবারকে জিম্মি করে রিজভী সাহেবের বিরুদ্ধে মামলা করায়। আমি আগেও এই কথা বলেছি।এরপরও আমাকে আদালতের মতো জায়গায় আপনাদের সামনে পেটানো হলো।হিরো আলম বলেন, আমি মামলা করে নিচে আসার পরে বিএনপির একটা দল আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে কান ধরিয়ে উঠ-বস করায়। এরপরে আমাকে কিল-ঘুষি মেরেছে মুখে ও মাথায়। বুকে ও শরীরের অন্য জায়গায়ও মারে। তাদের অভিযোগ, আমি নাকি কোনো বক্তব্যে তারেক জিয়াকে গালিগালাজ করেছি।তিনি বলেন, আমি কখনো তারেক জিয়ার গালিগালাজ করিনি। প্রমাণ পেলে আমার গলায় জুতার মালা দিয়ে ঘুরবো।বিএনপি এখনো ক্ষমতাহীন।তার আগেই দেশজুড়ে অরাজকতা শুরু করেছে। আমরা আন্দোলন করে এক স্বৈরশাসক তাড়িয়েছি কি আর এক স্বৈরশাসককে ক্ষমতায় আনার জন্য? বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন হিরো আলম।এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির বগুড়া জেলা সহ-সভাপতি ও বগুড়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাখাদ বলেন, হিরো আলম সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে এসেছেন। তাকে মারধর না করে বিএনপির লোকজনদের খুশি হওয়া উচিত।তিনি প্রশ্ন রাখেন,বিএনপির কোন লোকজন হামলা করেছে তার উপর। বিএনপির কারো নাম বলতে পারবেন তিনি?আসলে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই এ অভিযোগ করেছেন হিরো আলম।বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা বলেন, যারা হিরো আলমের ওপর হামলা করেছে তারা দুর্বৃত্ত। আমাদের দলের কোনো নেতা এটা করেনি।