হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন - ফাইল ছবি

সরকার পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযানের অংশ হিসেবে সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালিস্ট হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেফতার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।

ওয়ারী থানার উপ-কমিশনার মো. সালেহউদ্দিন বলেন, “আমরা তাকে যাত্রাবাড়ী থানা থেকে শামলীর একটি হাসপাতালে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করি।

এ নিয়ে গত তিন দিনে আওয়ামী লীগের তিন সাবেক মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত সরকারের জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে শনিবার রাতে ঢাকার ইস্কাটন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন রোববার সন্ধ্যায় সেগুনবাগিচায় সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর এবং সাবেক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের সঙ্গে সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও উপদেষ্টাসহ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ২০ জনের বেশি নেতা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে ৫ আগস্ট ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তিনদিন পর অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়। এরপর একের পর এক গ্রেফতার হন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, শীর্ষ নেতা ও প্রভাবশালী সদস্যরা।

তাদের মধ্যে রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মুনি ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

পঞ্চগড়-২ আসন থেকে ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়া এবং ২০১৯ সালে রেলমন্ত্রী হওয়া চারবারের এমপি নুরুল ইসলাম সুজন সর্বশেষ গ্রেপ্তার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন মারা যান। রেলমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুজন ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হন। পরবর্তীতে তিনি দশম ও একাদশ সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। ২০২৪ সালে, তিনি ১২ তম সংসদের নির্বাচনে জয়ী হন, কিন্তু মন্ত্রিসভায় একটি আসন পাননি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র সুজন ডাকসুর একাডেমিক সেক্রেটারি ছিলেন।

ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর তিনি যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মহাসচিবও হন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন